৳ ৩০০ ৳ ২৫৫
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
সন্তানের আগমন সংবাদ, মা-বাবার সুখের কারণই হয়। দুঃখিনী শকুন্তলা, যার মাতৃগর্ভে আসার খবরে আনন্দিত হননি পিতা-মাতা কেউ। বরং পিতা বিশ্বামিত্রের তৎক্ষণাৎ মনে পড়ে যায় প্রেমের ছলনা দ্বারা তাঁকে তপস্যাচ্যুত করার কথা। তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন শকুন্তলার মাতা অপ্সরা মেনকার দিক থেকে, যে দেবরাজ ইন্দ্রের আদেশে বিশ্বামিত্রের কঠোর সাধনা ভঙ্গের দায় নিতে বাধ্য হয়। বিশ্বামিত্রকে ছেড়ে নীরবে চলে যায় মেনকা।জন্মের পর কন্যাকে মালিনী নদীতীরে প্রকৃতির কোলে শুইয়ে দিয়ে স্বর্গে ফিরে যায় মা মেনকা। জন্মের গ্লানি নীরবে বুকে লালন করে মালিনী নদী তীরবর্তী বনের একপাশে গড়ে ওঠা মহর্ষি কণ্বের আশ্রমে বড়ো হয় অপ্সরা কন্যা শকুন্তলা। অপরূপ রূপবতী এই নারীর সারল্য ও কোমল ব্যবহারে আকৃষ্ট হয় সকলে। বনের বৃক্ষ ও পশু-পাখি সবাই তার মায়ায় জড়িয়ে যায়। একদিন সেই বনে শিকার করতে আসেন মহাপরাক্রমশালি রাজা দুষ্মন্ত। শকুন্তলা দর্শনে যিনি শিকার ভুলে প্রেমে মগ্ন হয়ে পড়েন। প্রেমের প্লাবন ভাসিয়ে নেয় শকুন্তলাকেও। সকলের অগোচরে বিয়ে হয় তাদের, একে অপরকে গ্রহণ করে তারা। শকুন্তলাকে রাণীর বেশে সসম্মানে রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান প্রেমিক স্বামী দুষ্মন্ত। তারপর...দুর্বাসার অভিশাপে দুষ্মন্ত বিরহে কাটতে থাকে অভাগী শকুন্তলার দীর্ঘ প্রহর। অসম্মান আর অপমানের অনলে দগ্ধ হতে থাকে সে। প্রতীক্ষার প্রহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে...
Title | : | শকুন্তলা |
Author | : | বনানী রায় |
Publisher | : | ভাষাচিত্র |
ISBN | : | 9789849745488 |
Edition | : | 1st Published, 2024 |
Number of Pages | : | 96 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | English |
বনানী রায় নড়াইল জেলার বড়দিয়া গ্রামে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা। গান, লেখাপড়া, খেলাধুলা আর আনন্দের মধ্য দিয়ে কাটে শৈশব। আট বছর বয়সে বাবাকে হারালেও মা আর বড় ভাইদের নিবিড় ছায়ায় কাটে জীবন। স্বপ্ন ছিল গানের জগতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার। এসএসসি পাস করার পর বড় ভাইয়ের কর্মস্থল চট্টগ্রামে গিয়ে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ পাস করে ২০০৩ সালে ঢাকায় কর্মজীবন শুরু করেন ব্যাংকিং সেক্টরে। তারপর বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ। ২০০৯ সালে সন্তানের প্রয়ােজনকে গুরুত্ব দিয়ে চাকরি ও গান ছেড়ে পুরােপুরি মাতৃত্বের স্বাদ নেন। বর্তমানে দুই সন্তানের সন্তুষ্ট মা। ২০১৮ সালে মাকে হারিয়ে নিজেকে সামলাতে কৈশাের ও যৌবনের লালিত শখ লেখালেখিতে মনােনিবেশ করেন।
If you found any incorrect information please report us